TufaniAnimator
প্রকাশ: 04 সেপ্টেম্বর 2024, 12:40
উসায়দ ইবনে হুজাইর (রা.) ছিলেন নবীজির (সা.) একজন সাহাবি। একদিন তিনি ঘোড়ার আস্তাবলে বসে কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। এ সময় তার ঘোড়া লাফাতে শুরু করে। তিনি আবার তিলাওয়াত শুরু করলে ঘোড়াটি আবারও লাফাতে থাকে। তিনি থেমে যান এবং কিছুক্ষণ পর আবার পড়তে শুরু করলে ঘোড়াটি আবারও লাফ দেয়।
পাশেই উসায়দ ইবনে হুজাইর (রা.)-এর ছেলে ইয়াহইয়া শুয়ে ছিল। উসায়দ ইবনে হুজাইর (রা.) বলেন, তিনি আশঙ্কা করেন যে ঘোড়াটি তার ছেলেকে পিষ্ট করে ফেলতে পারে। তাই তিনি উঠে তার ছেলের কাছে যান। হঠাৎ তিনি মাথার ওপর শামিয়ানার মতো কিছু একটা দেখতে পান, যার ভেতর প্রদীপের মতো অনেকগুলো জিনিস পুরো শামিয়ানাটাকে আলোকিত করে রেখেছে। তিনি দেখামাত্রই সেগুলো ওপরে উঠে মুহূর্তেই শূন্যে মিলিয়ে যায় এবং তিনি আর তা দেখতে পান না।
পরদিন সকালে নবীজির (সা.) কাছে গিয়ে তিনি বলেন, “আল্লাহর রাসুল (সা.), গতকাল রাতে আমি আমার ঘোড়ার আস্তাবলে কোরআন পড়ছিলাম। আমার ঘোড়া তখন হঠাৎ লাফাতে শুরু করেছিল।”
নবীজি (সা.) তাঁর কথা শুনে বলেন, “হে ইবনে হুজাইর! তুমি কোরআন পাঠ করতে থাকতে। তিলাওয়াত থামিয়ে দিলে কেন?”
উসায়দ ইবনে হুজাইর (রা.) নবীজির (সা.) কাছে গিয়ে বললেন, “আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি আবারও কোরআন তিলাওয়াত শুরু করলাম, কিন্তু ঘোড়াটি আবারও লাফাতে থাকল।”
নবীজি (সা.) বললেন, “হে ইবনে হুজাইর, তুমি তিলাওয়াত করতে থাকতে।”
উসায়দ ইবনে হুজাইর (রা.) বললেন, “আমি তিলাওয়াত থামিয়ে দিলাম, কারণ আমার ছেলে ইয়াহইয়া ঘোড়াটির পাশেই ছিল। আমি আশঙ্কা করছিলাম যে ঘোড়াটি আমার ছেলেকে পিষ্ট করে ফেলতে পারে। আমি মেঘপুঞ্জের মতো কিছু একটা দেখতে পেয়েছিলাম, যার মধ্যে প্রদীপের মতো কোনো বস্তু আলো দিচ্ছিল। আমি দেখামাত্রই সেটা ওপরে উঠে গেল এবং আমার দৃষ্টির আড়াল হয়ে গেল।”
নবীজি (সা.) বললেন, “ওরা ফেরেশতা। ওরা তোমার কোরআন তিলাওয়াত শুনছিল। তুমি পড়তে থাকলে ওরা ভোর পর্যন্ত থাকত এবং লোকজনও ওদের দেখতে পেত। ওরা লোকজনের দৃষ্টির আড়াল হতো না।” (মুসলিম, হাদিস: ৭৯৬)