ইয়া জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত
TufaniAnimator
প্রকাশ: 19 সেপ্টেম্বর 2024, 10.10
আল্লাহর মহিমান্বিত নাম: ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম
ইসলাম ধর্মে আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে অন্যতম হলো "ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম"। এই নামটি আল্লাহর মহত্ত্ব, সম্মান ও করুণার প্রতিফলন ঘটায়। নবীজি (সা.) এই নামটি নিয়মিত পাঠের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
এই নামের তাৎপর্য:
- জাল জালালি: মহিমায় পরিপূর্ণ, মহান ও সম্মানিত
- ওয়াল ইকরাম: মহানুভব, অসীম দয়ালু ও অনুগ্রহশীল
কোরআনে উল্লেখ:
সূরা আর-রহমানে আল্লাহর এই নাম দুইবার উল্লেখ করা হয়েছে, যা এর গুরুত্বকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে।
নামটির ব্যবহার:
মুসলমানরা প্রার্থনা ও দোয়ায় এই নামটি ব্যবহার করেন আল্লাহর কাছে তাদের আবেদন জানানোর জন্য। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই নামটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁর রহমত লাভের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
উপসংহার:
"ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম" নামটি আল্লাহর মহত্ত্ব ও করুণার একটি সুন্দর প্রকাশ। মুসলমানদের জন্য এই নামটির নিয়মিত স্মরণ ও পাঠ তাদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে এবং তাদের জীবনে আল্লাহর আশীর্বাদ বৃদ্ধি করে।
ইসমে আজমের মহিমা: আল্লাহর কাছে দোয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপায়
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহর কিছু নাম এমন আছে যেগুলোকে "ইসমে আজম" বা "সর্বশ্রেষ্ঠ নাম" বলা হয়। এই নামগুলো দ্বারা আল্লাহকে ডাকলে তিনি দোয়া কবুল করেন এবং প্রার্থনাকারীর চাহিদা পূরণ করেন।
একটি হাদিসে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি নবীজি (সা.)-এর সামনে নামাজ পড়ে "ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম" সহ আরও কিছু নাম উচ্চারণ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। নবীজি (সা.) তখন তাকে বলেছিলেন যে, সে আল্লাহর কাছে ইসমে আজম দ্বারা দোয়া করেছে, যা অবশ্যই কবুল হবে।
এই ঘটনাটি ইসমে আজমের শক্তি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্বকে তুলে ধরে। মুসলমানদের জন্য আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর নামসমূহের জিকির করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরআনেও আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সর্বদা তাঁর স্মরণ করার এবং সকাল-সন্ধ্যা তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উপসংহার:
ইসমে আজমের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া করা একজন মুসলমানের জীবনে গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে। এটি আল্লাহর সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করে এবং তাঁর রহমত ও করুণা লাভের একটি পথ প্রশস্ত করে।
আল্লাহর নামের জিকির: সফলতা ও মুক্তির চাবিকাঠি
ইসলামী শিক্ষায় আল্লাহর নামসমূহের জিকির বা স্মরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআন ও হাদিসে এর প্রতি বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
কোরআনের নির্দেশনা:
- বিপদের সময়: কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে আল্লাহর স্মরণে অবিচল থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সফলতা লাভের জন্য (সূরা আনফাল, আয়াত: ৪৫)।
- আল্লাহর নামে ডাকা: আল্লাহকে তাঁর সুন্দর নামসমূহ দ্বারা ডাকার এবং তাঁর নাম বিকৃত করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (সূরা আরাফ, আয়াত: ১৮০)।
ইসমে আজমের মহিমা:
ইমাম আবু জাফর তাবারি (র.) এর মতে, আল্লাহর প্রতিটি গুণবাচক নামই ইসমে আজম বা সর্বশ্রেষ্ঠ নামের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা দান করেন।
উপসংহার:
আল্লাহর নামের জিকির একজন মুসলমানের জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জনের একটি চাবিকাঠি।