Type Here to Get Search Results !

#in page push

জান্নাতে প্রতিবেশী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা: মহীয়সী আসিয়া বিনতে মুজাহিমের গল্প

জান্নাতে প্রতিবেশী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা: মহীয়সী আসিয়া বিনতে মুজাহিমের গল্প

TufaniAnimator

প্রকাশ: 05 সেপ্টেম্বর 2024, 9.55



আসিয়া বিনতে মুজাহিম, প্রাচীন মিসরের ফেরাউনের স্ত্রী, ছিলেন একজন আল্লাহ–বিশ্বাসী মহীয়সী নারী। তিনি মানুষের প্রতি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। তাঁর স্বামী ফেরাউন নিজেকে খোদা বলে দাবি করত এবং ছিল অত্যাচারী ও বদমেজাজি বাদশাহ।

আসিয়া ফেরাউনের স্ত্রী হলেও, তাঁর কোনো স্বভাব তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। তিনি এক আল্লাহর ওপর ইমান আনেন। ফেরাউন যখন জানতে পারে যে তাঁর স্ত্রী অন্যের উপাসনা করেন, তখন সে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আসিয়া সত্য ধর্মের ওপর অবিচল ছিলেন।

ফেরাউন তখন আসিয়াকে হত্যার আদেশ দেয়। সৈন্যরা তাঁর হাত-পা বেঁধে উত্তপ্ত সূর্যের নিচে ফেলে রাখে এবং শরীর ক্ষতবিক্ষত করে। তবুও তিনি ইমান ছাড়েননি এবং জীবনের বিনিময়ে ইমান রক্ষা করেন।

আসিয়া দুনিয়ার রাজপ্রাসাদের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে জান্নাতে একটি ঘর প্রার্থনা করেছিলেন। কোরআনে তাঁর প্রার্থনার কথা এভাবে উল্লেখ আছে: “আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছেন, যিনি প্রার্থনা করেছিলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার কাছে জান্নাতে আমার জন্য একটি ঘর তৈরি করো, আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করো, এবং সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দাও’” (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১১)।

সুরা তাহরিমের শেষে দুটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি হলো হজরত নুহ (আ.)–এর অবিশ্বাসী স্ত্রী এবং দ্বিতীয়টি হলো অবিশ্বাসী ফেরাউনের বিশ্বাসী স্ত্রী আসিয়া।

কোরআনে বলা হয়েছে, “আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্য নুহের ও লুতের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছেন। তারা ছিল আমার দুই সৎ কর্মপরায়ণ দাসের অধীন। কিন্তু তারা তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তাই নুহ ও লুত তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারেনি। আর তাদেরকে বলা হলো, যারা জাহান্নামে ঢুকবে, তাদের সঙ্গে তোমরাও সেখানে ঢোকো” (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১০)।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad