Type Here to Get Search Results !

#in page push

আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.): কোরআনে নাজিল হওয়া ১৬টি আয়াতের সম্মানিত সাহাবি

আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.): কোরআনে নাজিল হওয়া ১৬টি আয়াতের সম্মানিত সাহাবি


TufaniAnimator

প্রকাশ: 07 সেপ্টেম্বর 2024, 7.33

একজন সাহাবিকে নিয়ে কোরআনে ১৬টি আয়াত নাজিল হয়েছে। সেই সৌভাগ্যবান সাহাবির নাম আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)।

ঘটনাটি এ রকম ছিল: একদিন রাসুল (সা.) কুরাইশ গোত্রের কয়েকজন নেতাকে ইসলাম সম্পর্কে বলছিলেন। সে সময় আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) এসে উপস্থিত হন। তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তার থেকে কিছু আমাকে শিখিয়ে দেন।’

আল কোরআনে আছে, ‘সে (মুহাম্মদ) ভ্রু কুঁচকে মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে এক অন্ধ এসেছিল। তুমি ওর সম্পর্কে কী জান? সে হয়তো পরিশুদ্ধ হতো বা উপদেশ নিত কিংবা উপদেশ থেকে উপকার পেত? যে নিজেকে বড় ভাবে, তার প্রতি বরং তোমার মনোযোগ! যদি সে নিজেকে পরিশুদ্ধ না করে, তবে তাতে তোমার কোনো দোষ হতো না। অথচ যে কিনা তোমার কাছে ছুটে এল, আর এল ভয়ে ভয়ে, তাকে তুমি অবজ্ঞা করলে! কক্ষনো (তুমি এমন করবে) না, এ এক উপদেশবাণী, যার ইচ্ছা এ গ্রহণ করবে। এ আছে মহান, উচ্চমর্যাদাশীল, পবিত্র কিতাবে. (যা) এমন লিপিকারের হাতে (লেখা) যে সম্মানিত ও পূতচরিত্র।’ (সুরা আবাসা, আয়াত: ১-১৬)।

এই ঘটনার পর থেকে রাসুল (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-কে খুব সম্মান করতেন এবং তাঁর প্রতি বিশেষ যত্ন নিতেন।

রাসুল (সা.) একটু বিরক্ত বোধ করলেন, কিন্তু তাঁর কথায় কোনো গুরুত্ব না দিয়ে কুরাইশ নেতাদের সঙ্গেই কথা চালিয়ে গেলেন। কুরাইশ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে রাসুল (সা.) যখন বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই আল্লাহ ওহি নাজিল করলেন।

ধর্ম নিয়ে জানার আগ্রহের কারণে আল্লাহ আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)–কে মর্যাদা দিয়ে কোরআনের আয়াত নাজিল করেছেন। এরপর থেকে রাসুল (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)–কে খুব সম্মান করতেন। তিনি এলে তাঁকে ডেকে কাছে বসাতেন, কুশল জিজ্ঞেস করতেন এবং কোনো প্রয়োজন থাকলে তা পূরণ করতেন।

ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) ছিলেন অন্ধ এবং তাঁর বাড়ি মসজিদ থেকে একটু দূরে ছিল। সব সময় তাঁর সাহায্যকারীও ছিল না। এত অসুবিধা সত্ত্বেও তিনি জামাতে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর রাসুল (সা.) ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) এবং বিলাল ইবনে রাবাহ (রা.)–কে মুয়াজ্জিন নিয়োগ করেন। বিলাল (রা.) আজান দিতেন, আর ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) দিতেন ইকামত। আবার কখনো উম্মে মাকতুম (রা.) আজান দিতেন, বিলাল (রা.) ইকামত দিতেন।

ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) ছিলেন ইসলামের প্রথম পর্বের বিশ্বাসীদের একজন। মক্কার অন্যদের মতো তিনিও কুরাইশদের উৎপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। সেসব জুলুমেও তাঁর ইমান কখনো দুর্বল হয়ে পড়েনি। তিনি এবং মুসয়াব ইবনে উমাইর (রা.) সাহাবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম মদিনায় হিজরত করেন।

আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে তিনি অসম্ভব ভালোবাসতেন এবং কোরআন শিক্ষার প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আগ্রহ। মদিনাবাসীকে তিনি কোরআন শেখাতেন।


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad